সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৪ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ চলতি রমজানের শেষ নাগাদ মক্কায় অনুষ্ঠেয় ১৪ তম ওআইসি (অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন) সম্মেলনে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত আমের ওমর সালেম আজ সকালে গণভবনে বাদশাহর আমন্ত্রণ পত্রটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম একথা জানান।
প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন এবং সম্মেলনে তাঁর উপস্থিতির বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্থ করেছেন।
সৌদি দূত প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, সৌদি বাদশাহ তাঁকে আন্তরিকতার সঙ্গে ওআইসি সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ এবং একইসঙ্গে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য সৌদি বাদশাহের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে এখন বাংলাদেশের একটি বিশেষ সম্পর্ক বজায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ককে আমরা বিশেষ মূল্য দিয়ে থাকি।’
উত্তরে ভারপ্রাপ্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, তাঁর দেশও বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মূল্য দেয়।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এই পবিত্র মাহে রমজানের শেষ নাগাদ মক্কা নগরীতে ১৪তম ওআইসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।
সদস্যপদ স্থগিত করার কারণে সিরিয়া ছাড়া ৫৭টি দেশের রাষ্ট্র এবং সরকার প্রধানগণ এই সম্মেলনে যোগদান করবেন।
সম্মেলনে ফিলিস্তিন ইস্যুসহ কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে পারে।
সম্মেলনের মক্কা ঘোষণায় ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর জন্য প্রযোজ্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী অর্ন্তভূক্ত হতে পারে এবং ওআইসি সদস্য রাষ্টগুলোর ঐক্য এবং সংহতি বজায় রাখার অঙ্গীকার অব্যাহত রাখার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হতে পারে।
পবিত্র মক্কা নগরীর দিকে তাক করে থাকা ব্যালেস্টিক মিসাইলের বিষয় নিয়ে ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরী বৈঠকের তিন বছর পর এবারের ১৪তম ওআইসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
১৩ তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালের এপ্রিলে তুরষ্কের ইস্তানবুলে। যাতে ৫০টি দেশ অংশগ্রহণ করে।
ওআইসি হচ্ছে জাতিসংঘের পরেই সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক সরকারি সংস্থা, চারটি মহাদেশের ৫৭টি দেশ যার সদস্য। এটি মুসলিম বিশ্বকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং তাঁদের স্বার্থরক্ষা করে চলে।